ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের নন্দীগ্রাম এলাকায় অপরিকল্পিত পুকুর নির্মাণের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার একর ফসলের মাঠে, দীর্ঘদিন পানি আটকে থাকায় মরছে শশা ক্ষেত, ঝিঙা, চিচিঙাসহ মৌসুম শাক-সবজির ক্ষেত। প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী বুধবার (১০আগস্ট/২০২২) উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ প্রসঙ্গে ইউএনও হাসান মারুফ জানান, তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে সরজমিনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মোজাম্মেল হোসেন। উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার এ প্রতিনিধিকে বলেন, যে সকল কৃষক পুকুর তৈরি করেছেন, তাদের পুকুরের পাড় কেটে ফসল বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করে ছিলাম। কিন্তু তারা রাজি হন নাই। তিনি জানান, দীর্ঘদিন পানি আটকে থাকায় চল্লিশা আলুর গ্রামখ্যাত নন্দীগ্রামে ফসলের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। অনেক পানি থাকায় রোপা-আমন মৌসুমে হাজার একর জমি এখনো চারা রোপন করতে পারছে না কৃষক।
পুকুরের মালিকরা জানান, এই তাদের পুকুরের পাড় কেটে পানি নিষ্কাষণের ব্যবস্থা করলে লাখ লাখ টাকার মাছ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। নন্দীগ্রামের মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, মাত্র ২/৩জন মৎস্যচাষীর জন্য এখনো হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ। সরকারের কোটি টাকার ফসল বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও বৃষ্টি পানি বাড়িঘরে উঠায় শত শত পরিবার দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে তাঁতকুড়া ব্লকের উসহকারী কৃষি অফিসার সুমন চন্দ্র সরকার জানান, স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য খালকাটা অত্যন্ত জরুরী। এ সমস্যা প্রতিবছর কোটি টাকার ফসল ধ্বংস করে দিচ্ছে।